শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
উল্লাপাড়া প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় বিবাদমান জমি নিয়ে চাচা-ভাতিজার বিরোধে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ও সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় নির্মানাধীন ঘর ভাংচুর করা হয়। শনিবার বিকেলে সলঙ্গা থানার হাটিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, থানার হাটিপাড়া গ্রামের জনাব আলীর ছেলে হারুনার রশিদ ও তার দুই ভাই বাদুল্লাহ, জলিল মন্ডল ও ভাতিজা সোহরাব আলী মিলে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে হারুনার রশিদ তার দুই ভাই বাদুল্লাহ ও আব্দুল মন্ডলের অংশ ৮ শতাংশ দক্ষিন অংশ থেকে জমি ক্রয় করে নেয়। পরে হারুনার রশিদ তার ৪ মেয়েকে ১২ শতাংশ জমি লিখে দেয়। কিছুদিন আগে বুজরত হোসেনের ছেলে সোহরাব আলীগং তার চাচা হারুনার রশিদগং কে মারপিট করে। এবিষয়ে হারুনার রশিদ গং সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। শনিবার হারুনার রশিদের জমিতে সোহবার আলীর বাবা বুজরত- তার ভাই আব্দুল খালেকগং জোরপুর্বক ঘর বাড়ি নির্মান করতে বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়।
বুজরত হোসেনে ছেলে আব্দুল খালেক বলেন, জমিটি মুলত প্রায় ৩৬ বছর আগে আমার বড় ভাই সোহরাব আলী ও আমার তিন চাচা হারুনার রশিদ ,বাদুল্লাহ,আব্দুল মন্ডল ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। আমারা আমাদের জমিতে ঘর বাড়ি নির্মান করতে গেলে আব্দুর রশিদ তার বাহিনী নিয়ে আমাদের উপরে হামলা করে। এতে আমার মা-বাবা আহত হয়। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আব্দুর রশিদ জানান, আমার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় আমি আমার জমি ৪ মেয়েকে লিখে দেবার পর থেকে আমার ভাই ও ভাতিজার আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু দিন পূর্বে মারপিট করে। এবিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আমাদের জমিতে আমার ভাই বুজরত ও ভাতিজা আব্দুল খালেকগং জোরপূর্বক ঘর তুলতে গেলে আমরা বাধা দেই। বাধা দিলে আমাদের উপরে অতর্কিত ভাবে হামলা করে। এতে আমার আমি আমার মেয়ে জামাইসহ আমাদের ৫জন আহত হয়েছে। তাদের নির্মানাধীন ঘর নিজেরাই ভাংচুর করে আমাদের উপরে এর দায় চাপাচ্ছে।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক শেখ সজিব মুঠোফোনে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এবিষয়ে এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি। মামলা দায়ের হলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।