রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন
মোঃশাহাদত হোসেন, উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রত্যয় ব্লাড ডোনেশন সিরাজগঞ্জ সেচ্ছায় রক্তদান ফেজবুক গ্রুপের উদ্যোগে ১১ জন রক্তদাতা লাল ভালোবাসা দান করলেন । আজ রবিবার সিরাজগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল এবং খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল হাসপাতালে স্বেচ্ছায় রক্ত দিচ্ছেন এক দল তরুণ তরুণীরা।
ছুটির দিন। তাই সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ ছিল অনেকটাই ফাঁকা। লোক চলাচল ছিল হাতে গোনা। আজ রবিবার একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দুপুর দুইটা পযর্ন্ত হাসপাতাল দুটির প্যাথলজি বিভাগের সামনে মানুষের জটলা চোখে পড়ে। কাছে গিয়ে দেখা যায়, বারান্দার একপাশের বেঞ্চিতে বসে আছেন কয়েকজন তরুণ-তরুণী। তাঁরা অপেক্ষা করছেন।প্যাথলজি বিভাগের দরজা খুলে দেখি পাতা বিছানায় শুয়ে আছেন এক তরুণ। তিনি রক্ত দিচ্ছেন। সেখানে চিকিৎসক এবং নার্সরাও ছিলেন। দেখা মিলল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কেরও। জানা গেল, সেখানে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি চলছে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এমন সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্যয় ব্লাড ডোনেশনের রক্তদান গ্রুপের আর্দশবান সেচ্ছাসেবী ও একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন এডমিন রাকিব মোল্লা।
একুশে ফেব্রুয়ারির বিশেষ এই দিনে ১১ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে ডোনেট করান তিনি । বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-শিক্ষক স্বেচ্ছায় রক্ত দেন। চমৎকার এক মানবিক দৃশ্য। রক্ত দিয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর প্রত্যয় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা যায় স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহীদের। তবে এদের মধ্যে বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী।
এই মহান দিনে রক্ত দিতে পেরে দারুণ খুশি তরুণ ও সেচ্ছাসেবীগন । একজন রক্তদাতা জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত সংবাদদাতাকে বলেন , আজকের এইদিনে অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করার ব্যস্ত ছিলাম । তারপরও রক্ত দিতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। একজন মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য কিছু একটা করতে পারছি। এর চেয়ে বড় কিছু নেই।
প্রত্যয় ব্লাড ডোনেশন সিরাজগঞ্জ (PBDS) তত্ত্বাবধায়ক রাকিব মোল্লা ওম, মালোয়শিয়া প্রবাশি কুদ্দুস খান ও সেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় আমরা এ মহৎ রক্তদান করতে পেরেছি। দেশ-বিদেশের কোথাও একদিনে এক সাথে এত রোগীর জন্য রক্ত দিছে নাকি আমাদের জানা নেই। রক্ত দেওয়ার মতো মহৎ কাজ আর হয় না। মানুষের কল্যাণে মানুষ কীভাবে এগিয়ে আসতে পারে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি।
রাকিব মোল্লা বলেন, আজকের দিনে এত বিপুল সাড়া পাব ভাবতে পারিনি। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা রক্ত দিতে যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অভাবনীয়। এতে প্রমাণিত হয়, যেকোনো ভালো কাজ তরুণদের দ্বারা সম্ভব । একুশের চেতনায় সফলভাবে কাজটি করতে পেরে সত্যিই আমরা আনন্দিত।